রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর নিকট সাংবাদিকদের বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি

দ্বিতীয় দফায় সারাদেশের সাংবাদিকদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর নিকট ইমেইলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সকল জেলা-উপজেলার সাংবাদিকদের পক্ষে স্মারকলিপিটি পাঠান।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, চলমান মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রশাসন ও চিকিৎসকের পাশাপাশি সাংবাদিকরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন। সরকারের পক্ষ থেকে একমাত্র সাংবাদিক ছাড়া বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। যা সাংবাদিকদের জন্য ভীষন বেদনা ও পীড়াদায়ক।

এদিকে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল থেকে সারাদেশের সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সকল জেলা প্রশাসককে চিঠি প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ওই চিঠিটি অনিবার্যকারন দেখিয়ে ২১ এপ্রিল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এতে সারাদেশের সাংবাদিকেরা লজ্জিত ও ব্যথিত হয়েছে। ফলে গত দু’দিন ধরে প্রেস কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান-সচিবের অপসারণ ও পরিচালনা কমিটি পূনর্গঠনের দাবি করা হয়েছে।

এছাড়া ২১ এপ্রিল ঢাকায় তথ্যমন্ত্রীর নিকট কিছু সাংবাদিকের একটি তালিকা দাখিল করে বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ। এতে কেবল তাদের সংগঠনের সাংবাদিকদের স্বার্থই দেখা হয়েছে। কিন্তু মহামারী করোনায় সারাদেশের সাংবাদিকরাইতো দায়িত্ব পালন করছেন, তবে কেনো তাদেরকে সহায়তার আওতায় আনা হবেনা! সকল ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর আশু নির্দেশণা আশা করছে দেশের সকল সাংবাদিকেরা।

সারাদেশের সংকটময় মূহূর্তে সাংবাদিকরাই তাৎক্ষনিক খবর পৌঁছে দিয়ে জনসচেতনতা তৈরী করে থাকেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভূত্থান ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধসহ রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও একমাত্র সাংবাদিকরাই রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন সুবিধাদি গ্রহন করেনি।

ইতিমধ্যে চলমান করোনায় প্রায় ১৫-১৬ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সুচিকিৎসার দাবি করা হয়।

স্মারকলিপিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ রাখা হয় যে, কোন কুলীন সাংবাদিক কিংবা তাদের সংগঠনের নেতাদের কথায় কান না দিয়ে আপনার প্রশাসনের দ্বারা খোঁজ নিয়ে অথবা নিজগুনে দাবির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জেলা-উপজেলা অনুযায়ী কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের অনুকূলে চলমান করোনা মোকাবেলায় বিশেষ অর্থ সহায়তা বরাদ্দেরও দাবি করেন নেতৃবৃন্দ – বিজ্ঞপ্তি

এই বিভাগের আরো খবর